১৪৩১ বঙ্গাব্দে দুর্গাপূজা বর্ণাঢ্য ও উদ্দীপনাময় রূপে আমাদের জীবনে ফিরে এসেছে।বছরে তিনবার দুর্গাপূজা পালন হলেও বাঙালিরা সবচেয়ে বেশি উৎসাহিত হন শরৎকালীন দুর্গাপূজোতে। এটি শুধু ধর্মীয় আচার নয়, বরং বাঙালির জীবনের এক গভীর আবেগ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত। শরতের নীল আকাশ, শিউলি ফুলের গন্ধ, কাশবনের দোলা—সবকিছু মিলিয়ে দুর্গাপূজার আবহ মানুষকে এক ভিন্ন আনন্দের জগতে নিয়ে যায়।
দুর্গাপূজা মূলত মহিষাসুরের বধের মাধ্যমে মঙ্গল প্রতিষ্ঠার প্রতীক। মা দুর্গা, দশভুজা দেবী, অসুরদের বিনাশ করে মানবজাতিকে রক্ষা করেন। এই পৌরাণিক কাহিনী আমাদের জানান দেয় যে, সকল অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য শুভ শক্তির উদ্ভব অত্যন্ত প্রয়োজন।
সাধারণত চার দিনব্যাপী পূজা উদযাপন বাঙালিরা প্রাণভরে উপভোগ করেন, কিন্তু এবার এই সময়টা একদিন কমে যাওয়ায় অনেকের মন ভারাক্রান্ত। কারণ, মহাষ্টমীর দিনটি পূজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং নবমীর দিনটি আনন্দ-উল্লাসের শীর্ষে থাকে। এই দুই বিশেষ দিন একই দিনে উদযাপিত হওয়ায়, সেই পরিপূর্ণ উল্লাসের একটু খামতি অনুভব করছেন অনেকে।
তবে, পুজোর আনন্দকে মন থেকে কখনোই কমিয়ে রাখা যায় না। তিনদিনের পূজা হলেও, বাঙালিরা এই সময়টিকে তাদের সেরা উপায়ে উপভোগ করবেন। প্যান্ডেল ঘোরা, প্রতিমা দর্শন, ধুনুচি নাচ, আরতি, এবং মিষ্টিমুখ—এই সমস্ত রীতি মেনেই পুজো উদযাপন হবে।
Author and Snaps taken by
0 Comments